বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্য সমাধান

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্য সমাধান

মিশন জিওগ্রাফি ইন্ডিয়া: Bermuda Triangle – এর সমস্ত রহস্য সমাধান হতে চলেছে । প্রকাশিত হল নতুন Theory . বিজ্ঞানীদের মতে, এই সব ঘটনার জন্য দায়ী 273km/h বেগে আসা বিশাল সামুদ্রিক তুফান , যার নাম দেওয়া হয়েছে Air Bomb.
আলোচনা শুরু করার আগে আমাদের মিশন জিওগ্রাফির পাঠকদের Bermuda Triangle – সম্পর্কে একটু জানিয়ে দেওয়া যাক ।

Bermuda Triangle এমন একটি এলাকা যা উত্তর আটলান্টিক সমুদ্রের 13 লক্ষ কিমি জুড়ে রয়েছে । কিন্তু এই Triangle কোথায় শুরু আর কোথায় শেষ তার অনুমান করা অসম্ভব । এখানে Magnetic Disturbance – এর কারণে compass ঠিক মত কাজ করে না । বিশেষজ্ঞদের মতে , compass ঠিকমত কাজ না করা Aircrafts ও সামুদ্রিক জাহাজ হারানোর সবথেকে বড়ো কারণ । অনেকের মতে , এখানে মেঘের সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করা যায় , যার মধ্যে বিমানের Raddar কাজ করা বন্ধ করে দেয় । কেউ একে Electronic Frog ও বলে । এই frog সমুদ্র থেকে আকাশে উঠে ভয়ংকর আকৃতি নেয় ।
ঘখন কোনো জাহাজ বা বিমান Bermuda Triangle – এর উপর দিয়ে যায় সেই জাহাজ বা বিমান আর ফিরে না । গত 100 বছরে Bermuda Triangle – এ 1000 জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে । আজও প্রতিবছর 4 টি বিমান ও 20 টি সামুদ্রিক জাহাজ Bermuda Triangle – এ এসে আজব ভাবে হারিয়ে যায় এবং সেই সমস্ত ধংস স্তূপও খুঁজে পাওয়া যায় না । এই সমস্ত কারণেই Bermuda Triangle হয়ে উঠেছে পৃথিবীর সবথেকে বড়ো রহস্য ।

Bermuda Triangle – সম্পর্কে যে নতুন Theory দেওয়া হয়েছে সেটা বলা যাক তাহলে ।
আমেরিকার বিজ্ঞানীদের মতে , Bermuda Triangle – এ যে সমস্ত ঘটনা ঘটে চলেছে এর অনেকটাই দায়ী 273kms/h বেগে আসা এক বিশাল তুফান । এর নাম দেওয়া হয়েছে Air Bomb । Bermuda Triangle – এর উপরে অবস্থিত Hexagonal Clouds অর্থাৎ ষড়ভূজাকৃতি মেঘ এমন চাপের সৃষ্টি করে যে এখানকার আকাশের শীতল ও ভারী বায়ু 273kms/h বেগে নীচে নামতে শুরু করে যা বিনাশকারী Bomb – এর শক্তিতে পরিণত হয় । এই Air Bomb – এর জন্য সমুদ্রের ঢেউ 45 ফিট উঁচুতে উঠে যায় । এই তুফানের জন্যই সামুদ্রিক জাহাজ ডুবে যায় , আর আকাশে উড়া বিমান সমুদ্রে crash হয়ে যায় ।

Hexagonal Clouds – হল মেঘের একটি বিশেষ রূপ যা শনি গ্রহের উত্তর দিশায় থাকা মেঘের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায় । Bermuda Triangle – এর উপর অবস্থিত এই মেঘ 32kms থেকে 88kms পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে ।
সমুদ্রের জল উষ্ণ হয়ে জলীয়বাষ্প রূপে উপরে উঠে নির্দিষ্ট উচ্চতায় গিয়ে Hexagonal Shape – এ Hexagonal Clouds – এর সৃষ্টি করে । আর এই মেঘ উপরের আসেপাশের ঠান্ডা বাতাসকে নিয়ে নীচের দিকে প্রবল গতিবেগে নামতে শুরু করে , ফলে সমুদ্রের জলের এমন প্রবল চাপ সৃষ্টি করে যে সমুদ্রের জলের ঢেউ 45 ফিট উঁচুতে উঠে যায় । এই মেঘের উল্লম্ব বিস্তার কয়েক কিমি পর্যন্ত হয় এবং এই উল্লম্ব বিস্তার যত বেশি হবে তত বেশি চাপের সৃষ্টি করে নীচে নামে । এর ফলেই সৃষ্টি হয় Air Bomb ।
যার জন্য বিমান ও জাহাজ Bermuda Triangle – এ এসে রহস্যময় ভাবে হারিয়ে যায় ।

আর এই মৃত মানুষ , বিমান ও জাহাজের ধ্বংসস্তূপ সমুদ্রের তলদেশে নদীর মত প্রবল গতি সম্পূর্ণ জলস্রোত এগুলিকে নিয়ে অন্যত্র অজানা স্থানে নিয়ে চলে যায় ।
অনেক বিজ্ঞানীই সমর্থন করে যে , Bermuda Triangle – এর মাঝে এক কঠোর ও অদ্ভূত মেঘ বা কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় যা সামুদ্রিক জাহাজ ও বিমানকে ধ্বংস করে দেয় ।
আর বিজ্ঞানীদের নতুন Theory বিশ্লেষণ করে বলা যায় , Bermuda Triangle – এর রহস্য অনেকটাই সেই মেঘেই ডেকে রয়েছে , যে মেঘ Air Bomb – এর সৃষ্টি করে । যা 1000 টন বিশিষ্ট বিমান ও সামুদ্রিক জাহাজকে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে মৃত্যুর মুখে নিয়ে যায় ।
Devil’s Triangle – নামে পরিচিত এই জায়গায় কেউ যেতে চাই না । কারণ যাওয়া মানেই তো নিজের মৃত্যুকে আহ্বান করার মত ।

-সৌরভ সরকার ।।

Content Protection by DMCA.com
এখান থেকে শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js //pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js //pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js
//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js
error: মিশন জিওগ্রাফি ইন্ডিয়া কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত